260153

কুষ্টকাঠিন্য দূর করার একটি সহজ পদ্ধতি জেনেনিন

ডেস্ক রিপোর্ট : গরম ভাতের সঙ্গে মুচমুচে করলা ভাজির স্বাদ যেন অনবদ্য! তবে অনেকেই করলা খেতে পছন্দ করেন না। আবার অনেকেই করলা ভাজি খেলেও ঝোল তরকারি হিসেবে এই সবজিটি খেতে চায় না। মূল সমস্যা হলো এর তেঁতো স্বাদ।

পুষ্টিবিদরা বরাবরই সুস্থ থাকার জন্য করলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি আছে। করলা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।

১. নিয়মিত করলা খেলে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকে। ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে এক গ্লাস করলার রস খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। এই জুস আপনার শরীর থেকে সব টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে, তাই ত্বক আর চুল হয়ে উঠবে ঝকঝকে উজ্জ্বল। বলিরেখা পড়বে না, দীর্ঘদিন তারুণ্য বজায় থাকবে।

২. করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি পাওয়া যায়, জিঙ্ক আর বায়োটিনও থাকে অনেকটাই। ফলে আপনার চুল ক্রমশ শক্তিশালী ও মসৃণ হয়ে ওঠে৷ খুশকি কমে যায়, চুলের ডগা ফাটে না আগের মতো। করলার রস আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন।

৩. লেবু আর করলার রসের মিশ্রণও খুব কার্যকর। মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। যারা বছরের এই সময়টায় মূলত আবহাওয়ার কারণে ব্রণ, চুলকানি ও ফোড়ার সমস্যায় ভোগেন তারাও নিয়মিত করলার রস খেয়ে দেখতে পারেন।

৪. প্রচুর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন থাকে বলে করলার রস চোখের জন্য বেশ উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই করলা রাখুন, এর পলিপেপটাইড বি আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি বাঁচাবে ত্বকের সমস্যা থেকে।

৫. যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা যত ইচ্ছে করলা খান। এর মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। তবে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম বলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও নেই।

ডেইলি বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.