259378

অবশেষে পেঁয়াজ বীজের বাজারেও আগুন, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট : পেঁয়াজ দামের আগুনের প্রভাব পড়েছে বীজে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে দু-সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ বীজের দাম বেড়েছে ১২শ টাকা। মানব জমিন

শহরের বাজারে যে বীজ বিক্রি হচ্ছে ১৬/১৭শ’ টাকা, তা গ্রামের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। এই এলাকার কৃষকরা সাধারণত পেঁয়াজ গোটা (কন্ধ) লাগিয়ে পেঁয়াজ ফলান। সেই গোটারও সংকট। গত বছর এক কেজি গোটার দাম যেখানে ছিলো ৩০-৩৫ টাকা তা এখন ২৬০ টাকা। বীজ আর কন্ধের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সরজমিনে অনুসন্ধানে মিলেছে এই তথ্য।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হবে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের এই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পেঁয়াজ। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১ হেক্টর, সরাইলে ২০ হেক্টর, কসবায় ১০ হেক্টর, নবীনগরে ২৭ হেক্টর, বাঞ্ছারামপুরে ৪০ হেক্টর, নাসিরনগরে ৩০ হেক্টর, আখাউড়ার ১ হেক্টর, আশুগঞ্জে ৫ হেক্টর ও বিজয়নগরের ১ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজআবাদ হয়েছে এখন পর্যন্ত। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেপেঁয়াজের আবাদ শুরু হয়েছে এখানে। আবাদ চলবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এখানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় না। কৃষকরা খাওয়ার জন্য পেঁয়াজ আবাদ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জগতবাজারে বীজ বিক্রির একটি বড় দোকান মেসার্স বিছমিল্লাহ বীজ ভান্ডার। গতকাল শুক্রবার ওই দোকানে খোঁজ নিলে দোকান মালিক মো. জীবন মিয়া ও হেলিম মিয়া জানান, দু’সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের বীজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। যে বীজ ছিল ৭/৮শ’ টাকা কেজি সেই বীজ হয়েছে ১৫/১৬শ’ টাকা। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মেটাল এগ্রো লিমিটেডের মেটাল সিডের একটি ইনভয়েসে দেখা যায়, ১৯শে নভেম্বর আধা কেজির প্রতি এক প্যাকেট বীজ কিনেছেন তারা ৮শ’ টাকা করে। ৪টি প্যাকেটে মোট ২ কেজি বীজ কিনেছেন ৩২শ’ টাকায়। ওই ইনভয়েসে কোনো কমিশন হবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। ওই বীজ ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগে ১৭ই নভেম্বর ১৫শ’ টাকা কেজিতে বীজ কেনেছেন। বীজের দাম বেশি হওয়ায় এবং চাহিদা থাকায় তারা আমাদের কমিশন দেয়াও বন্ধ করে দিয়েছে।

তারা আরো জানান, লাল তীরের বীজের দাম সবচেয়ে বেশি। তাদের দুই ধরনের বীজ রয়েছে। যার কোম্পানি রেট ১৬শ ও ১৮শ টাকা এখন। এছাড়া মাসুদ সিড, মোমিন সিড এবং ইউনাইটেড সিডের পেঁয়াজ বীজ প্রতি কেজি ১২শ থেকে ১৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জীবন মিয়া জানান, অন্যান্য বারের চেয়ে এবার বীজের চাহিদা বেশি। গত বছর তারা সবমিলিয়ে ২০ কেজি পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করতে পিরেছিলেন। এবার ৫০ কেজি বীজ এনেছেন। এরইমধ্যে ৩০ কেজি বিক্রিও হয়ে গেছে। আলী বীজ ভান্ডারের আলী মিয়া জানান, আগে মৌসুমে আধা কেজি বীজও বিক্রি করতে পারতেন না। এখন পর্যন্ত দেড় কেজি বীজ বিক্রি করেছেন। অন্যদিকে জেলা শহর থেকে ১২-১৩ কিলোমিটার দূরত্বের একটি গ্রামের হাটে বৃহস্পতিবার দেখা গেছে ২ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের বীজ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.