257583

শীতে যেসব খাবার খাবেন সুস্থ থাকতে

ডেস্ক রিপোর্ট : শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। এ সময় ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে বাড়িতে বসে যদি শরীরের যত্ন নেওয়া, খাবারের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায় তাহলে আর এই ঠাণ্ডার সমস্যায় ভুগতে হয় না। খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই শীতে খাবার বাছাইয়ে সচেতন হোন। শীতে কী কী খাবেন তা এক নজরে দেখে নিন।

ঘি ও মাখন
ঘি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে শীতকালে ঘি দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়। মাখনেও ক্যলোরি থাকে, যা দেহের তাপমাত্রাকে ঠিক রাখে।

পালংশাক
শরীর সুস্থ রাখতে সবুজ শাকসবজি আমাদের সবসময়ই খাওয়া উচিত। বিশেষত, শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে শাকসবজি খাওয়া উচিত। পালংশাক আমাদের শরীরে অত্যন্ত উপকারী। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

বাদাম
কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা আমাদের ত্বক ভালো রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ঠাণ্ডা লাগা থেকে বাঁচায়। এ ছাড়াও বাদাম হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, দেহের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

আদা ও রসুন
যেকোনো খাবারের স্বাদ বাড়াতে আদা ও রসুন যে একাই একশো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধুমাত্র তাই নয়, এগুলো আমাদের শরীরকে গরম রাখে ও কোলেস্টেরল কমায়। সর্দি-কাশি ও হাঁপানি প্রতিরোধ করে। রান্নায় দেওয়ার পাশাপাশি এগুলো কাঁচাও খাওয়া যায়।

চকলেট
চকলেট খেতে কে না ভালবাসে! এটি ঠাণ্ডা লাগা থেকে বাঁচায়, দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়, মানসিক অবসাদ দূর করে।

মাছ, মাংস, ডিম
মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং জিঙ্ক থাকে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। মাংসে আয়রন থাকে, যা শরীরকে গরম রাখে। মাছ, মাংসের পাশাপাশি দুধ, ডিম এবং পনির ভিটামিন বি ১২ এর দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন বি ১২ ক্লান্তি দূর করে।

ভিটামিন সি
খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু, টমেটো, লাল মরিচ এবং সাইট্রাস ফলের মতো খাবার যুক্ত করুন। কারণ এগুলোতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত, আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তবে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.