241484

রান্নার বই লিখে কোটিপতি বনে গেলেন নাদিয়া

রিবাতুল ইসলাম : বিবিসি টেলিভিশনে বাংলাদেশি বংশদ্ভুত নাদিয়া হুসেইন রান্না প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে প্রথম হয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর আর তিনি থেমে থাকেননি। ব্রিটেনের রানির ঘরে তার তৈরি কেক যেত। বিভিন্ন রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানে তার পরামর্শ ও উপস্থিতি ছিল লোভনীয় ব্যাপার। এরপর বই লিখে ও বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সরব উপস্থিতি দিয়েই নাদিয়া বনে গেছেন কোটিপতি।

রান্না তার কাছে সংস্কৃতি ও এক শৈল্পিক বিষয়। রীতমত পড়াশুনা আর চর্চা করে নাদিয়া নিত্য নতুন খাবার তৈরি করেন। অথচ শুরুতে গ্যাস বিল বাঁচাতে তাকে অনেক কসরত করতে হত। ৩৪ বছরের নাদিয়ার ১০টি রান্নার বই এখন ব্রিটেন ছাড়াও নানা দেশে হট কেকের মতই বিক্রি হয়। ‘বেক অব উইনার’ হিসেবে নাদিয়ার এসব বই সেরা পাচকদের কাছেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পাঁচ তারকা হোটেলেও তার রন্ধন প্রক্রিয়া গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করা হয়। রান্না নিয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন যেখানে মানুষ তার কাছে আসে নতুন নতুন আইটেম কিভাবে বানাতে হয় তা শিখতে।

নাদিয়া জে হুসেইন লি: এখন ব্রিটেনে রান্নার এক সেনা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০১৭ সালে রান্ন্া করে নাদিয়ার প্রতিষ্ঠান যেখানে আয় করেছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার পাউন্ড, তারপর তা কখন যে ৩ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে হয়ত নাদিয়াও টের পাননি। দুই বছরে তিনি আয়কর দিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড। একই সময়ে তার আয় ছাড়িয়েছে ১০ লাখ পাউন্ড।

অথচ নাদিয়ার রান্না খুবই সহজ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তৈরি হয়। যা অন্যরাও সহজে রপ্ত করতে পারেন। বিবিসি টু’তে নাদিয়ার ব্রিটিশ ফুড এ্যাডভেঞ্চার, নাদিয়া’র ফ্যামিলি ফেবারিটস ও টাইম টু ইট হুইচ দেখতে মানুষ অপেক্ষার প্রহর গোনে।

তিন সন্তানের জননী নাদিয়া বলেন, সাত কি আট বছর বয়সে আমি আলু খেতে চেয়ে রান্নার চেষ্টা করি। এবং সে প্রচেষ্টা আজো অব্দি অব্যাহত রয়েছে এবং তা কানায় কানায় বৈচিত্রে পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছে। অথচ স্কুল জীবনে মাত্র ১১ বছর বয়সে তাকে অনেক বর্ণবাদি আচরণ সহ্র করতে হয়েছে। এমনকি রান্নার পাশাপাশি কিভাবে বর্ণবাদি আচরণ মোকাবেলা করতে হয় তা নিয়ে ‘নাদিয়া ঃ দুশ্চিন্তা এবং আমি’ নামে টিভি অনুষ্ঠানও করছেন তিনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.