238866

তাল শাঁস-ওলকচু আপনার ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে!

ডেস্ক রিপোর্ট : পাকা তালের রস, কচি তালের শাঁস, অঙ্কুরিত তালের আঁটির ভেতরের সাদা অংশ এবং ওলকচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে।এগুলোর কোনোটিই ডায়াবেটিসের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে না। বরং এক গবেষণায় ওঠে এসেছে, এগুলো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ডায়াবেটিস কমিয়ে আনে।এমনকি স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি এই দুটির উপাদান শরীরে পরিমিত মাত্রায় দেয়া সম্ভব হলে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর তাল শাঁস ও ওলকচুর ব্যবহারে এমন সফলতা পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ শাহিনুর রহমান।

তাল বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন খুবই পরিচিত ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Borassus flabellifer। কচি তালের শাঁস, পাকা তালের রস এবং অঙ্কুরিত তালের আঁটির ভেতরের সাদা অংশ অনেক জনপ্রিয় খাবার।কিন্তু, তাল নিয়ে এদেশে খাদ্য কুসংস্কার (Food Taboos) খুবই প্রবল। অনেকে তো ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে, এজন্য পাকা তাল, কচি শাঁস খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।

একই অবস্থা ওলকচু নিয়েও। মাটির নিচে হয় বলে এই সবজি নিয়ে রয়েছে ভীতি। প্রেসার এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা এটি এড়িয়ে চলেন।কিন্তু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ কয়েক বছরের গবেষণায় তাল এবং ওলকচুর নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে।

অধ্যাপক শেখ শাহীনুর রহমান তার পিএইচডি গবেষণায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর স্বল্পমাত্রায় তালের রস, কচি ও অঙ্কুরিত তাল শাঁস এবং ওলকচু প্রয়োগ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ সফলতা পেয়েছেন।বিশেষ করে কচি তালের শাঁস এবং পরিপক্ব তালের অঙ্কুরিত শাঁস ইঁদুরের ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

গবেষক শেখ শাহিনুর রহমান সহকারী অধ্যাপক শেখ শাহিনুর রহমানের গবেষণা প্রকল্পের কো-সুপারভাইজার ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম। আর সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. শেখ মো. আব্দুর রউফ।

শেখ শাহিনুর রহমান জানান, ডায়াবেটিস আক্রান্ত ইঁদুরের দেহে তাল শাঁস ও ওলকচুর ব্যবহারে সফলতা এসেছে। কিন্তু, এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের দেহে প্রয়োগের মাধ্যমে সফলতা পেতে হলে আরও গবেষণা দরকার।

তিনি আশাবাদী, আরও কয়েকটি উদ্ভিতজাত উপাদানের সংমিশ্রণে একটি কার্যকর ডায়াবেটিস নিরাময়ে সক্ষম খাদ্য উপাদান তৈরির কাজ করছেন। এজন্য বিভাগে একটি যুগোপযোগী এনিমাল হাউস স্থাপন করা হয়েছে।

পরিমিত ফান্ড পেলে গবেষণার মান এবং পরিধি বাড়ানো সম্ভব বলেও জানান শাহিনুর রহমানের গবেষণা দলের সদস্যরা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.