230559

এবার বালিশ নিয়ে বয়ান করলেন সেই হুজুর (ভিডিও)

অনলাইন সংস্করণঃ- কিছুদিন আগে নারীদের নিয়ে বয়ান করেছিলেন রাজধানীর পল্লবীর মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্সের খতিব মাওলানা আবদুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বেশ আলোচিত হয়েছিল তার বয়ান। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পরই তার ওয়াজকে প্রশংসা করেছেন হাজার হাজার নেটিজেন।

এবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনের আসবাবপত্র ও বালিশ কেনা এবং অন্যান্য কাজের অস্বাভাবিক খরচের বিষয়ে বয়ান করলেন মাওলানা আবদুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বালিশ দুর্নীতি নিয়ে একটি ওয়াজ মাহফিলে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তিনি।

গত শুক্রবার বয়ানের ভিডিওটি তিনি ফেসবুকেও শেয়ার দেন। এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ শেয়ার দিয়েছেন ভিডিওটি।

ওয়াজে মাওলানা আবদুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘মিডিয়াতে যেভাবে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বালিশের দাম নাকি ৬ হাজার টাকা। যদি ভালো বালিশ হয়। পারমাণবিক বালিশ হয়। তবে এখানে আরেকটি ব্যাপার রয়েছে, ওই বালিশ তুলতে নাকি আমার খরচ হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

নিচ থেকে ওপরে ওঠাবে তাতেই ৮০০ টাকা। বিষয়টি কিন্তু হাসির কথা নয় ভায়েরা আমার, এটা ভয়ংকর ব্যাপর। এটা কেউ কেউ বলছে পুকুর চুরি। কিন্তু আমি বলছি এটা পুকুর চুরি নয় ভায়েরা আমার, এটা সমুদ্র চুরি।

বালিশের দাম ও বালিশ তোলার শ্রমিকের খরচও আমরা জানি। তবে এখন কথা হচ্ছে বালিশের দাম আমরা জানি বলেই বুঝতে পারছি কত বড় দুর্নীতি হয়েছে।

কিন্তু এই বালিশ ছাড়াও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে তার নাম, রং, আকৃতি ও দাম কিন্তু আমরা জানি না। তাহলে এ সব বিষয়ে কী ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে তা জানা আমাদের সাধ্যের বাইরে। এ জন্য এটার নাম দিয়েছি সমুদ্র চুরি।

পাকসীতে আমার প্রচুর যাতায়াত রয়েছে। সেখানে এখন রেস্টুরেন্টের এক কাপ রং চায়ের দামও ৫৫ টাকা দিতে হয়। দাম বেড়েছে কেন? এটা পাকসী মনে করবেন না, এটা এখন মস্কো। রাশিযার সব কর্মচারীরা এখানে কাজ করছে। এখন এই এলাকার ৩০ টাকার রিকসা ভাড়া এখন ৭০ টাকা হয়েছে। কত বড় দুর্নীতি চিন্তা করে দেখেন ভায়েরা আমার।

এ সব কেন ঘটছে জানেন ভায়েরা আমরা? ঘটছে এই কারণে যে এখন আমাদের কাছে পাপ আর কোনো সাবজেক্টই না। কথা ঠিক কিনা বলেন? বিদেশিরা আমরাদের ঋণ দেয়। কিন্তু ওই ঋণের সঙ্গে শর্ত জুড়ে দেয়। ঋণ দিলে আমাদের কাজ থেকে এত টাকার জিনিসপত্র কিনতে হবে। যদি না মিলে তবে ব্যালেন্স করতে হবে। একটি ম্যাচের দাম যদি ৯ টাকা হয়, তবে যদি ব্যালেন্স করতে যদি ৯০০ টাকা বাকি থাকে তবে ম্যাচের দাম ৯০৯ টাকা ধরে ব্যালেন্স করতে হয়। রক্ত চোষা কাজ চলতেছে।

এসবের মুল কারণ কী? এসবের মূল কারণ হচ্ছে পাপ আর আমাদের কাছে কোনো গোনার বিষয় নয়। আল্লাহর কাছে দাঁড়াতে হবে, হিসেব দিতে হবে এটা আমাদের অনুভূতির মধ্যেই নেই। এত দুর্নীতিগ্রস্ত আমরা হয়ে গেছি প্রিয় বন্ধুরা আমরা। এ জন্য বালিশের দামও ঠিক আছে সবই ঠিক। দেখাতে এত ঠিক না দেখতে না জানি কী হচ্ছে আল্লাহ ভালো জানে।

রুপপুরের বালিশ কেটলির দাম জানি বলে এত চিল্লাচ্ছি!নিজেরা যে গুনাহকে গুনাই ভাবছিনা!আসুন গালমন্দ না করে #রমাদানের শিক্ষায় নিজে বাঁচি আর সোনার বাংলা গড়ি।।

Posted by Abdul Hi Muhammad Saifullah on Friday, 24 May 2019

 

সূত্র দৈনিক আমাদের সময়ঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.