206610

‘এমন ছবি তুলুন যাতে আমাদের দুজনের খুব ভালো দেখায়’

ডেস্ক রিপোর্ট : আট মাসের ব্যবধানে ফের সাক্ষাৎ দুই রাষ্ট্রনেতার। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মেট্রোপল হোটেলে বুধবার মুখোমুখি হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। দু’জনে দু’জনের সঙ্গে করমর্দন করলেন হাসিমুখে। উল্টো দিকে তখন শুধু ক্যামেরার ঝলকানি। তখনই ট্রাম্প বলে উঠলেন এমন ছবি তুলুন যাতে আমাদের দুজনেরই খুব ভালো দেখায়।

ট্রাম্প বললেন, ইতিবাচক আলোচনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। কিম বললেন, ‘‘আমরা সব ধরনের বাধা পেরিয়ে ফের মুখোমুখি আলোচনায় বসতে চলেছি।’’ যা শুনে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘ভিয়েতনামে চেয়ারম্যান কিমের সঙ্গে এই বৈঠক দারুণ ব্যাপার আমার কাছে। আমাদের প্রথম বৈঠক সফল হয়েছে। অনেকে ভেবেছিলেন, আরও দ্রুত দ্বিতীয় বৈঠক হবে। তবে যে ভাবে দ্বিতীয় বৈঠকের দিকে আমরা এগিয়েছি, তাতে আমি খুশি।’’ তাঁর মতে, দুই নেতার পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সামনে এ ধরনের নানা মন্তব্য করলেও সাংবাদিকদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান দুই নেতাই। তবে প্রশ্ন ছিল ট্রাম্পের দিকেই বেশি। মাইকেল কোহেনকে নিয়েও প্রশ্ন শোনা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে। তিনি অবশ্য কিছুতেই পাত্তা দেয়নি।

করমর্দনের পরে কিম আবার ধন্যবাদ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। বলেন, ‘‘এই বৈঠক সম্ভব হয়েছে ট্রাম্পের সাহসী রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্যই।’’ পিয়ংইয়্যাংয়ের শাসকের বক্তব্য, সিঙ্গাপুরের বৈঠকের পরেও বাইরের দুনিয়া দু’পক্ষের সমীকরণ নিয়ে ভুল বুঝেছে। তাই কিমের আশা, হ্যানয় সম্মেলনে যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাকে স্বাগত জানাবেন সকলেই। এ দিন ট্রাম্পের সঙ্গে আধ ঘণ্টা কথা হয়েছে কিমের। এই আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল বলেই কিমের দাবি। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আপনার দেশের আর্থিক উন্নয়নের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি দেশের জন্য অসাধারণ ভবিষ্যৎ তৈরি করবেন। আমরা তাতে সাহায্য করব।’’

এর পরে সহাস্য ট্রাম্প-কিম পাশাপাশি বসেন নৈশভোজে। চিত্রসাংবাদিকদের সঙ্গে ঠাট্টাও করেন। বলেন, ‘‘একান্তে এমন নৈশভোজের জবাব নেই!’’ তাঁদের সঙ্গে গোলটেবিলে ভোজে বসেছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। ট্রাম্প চিত্রসাংবাদিকদের নির্দেশ দেন, ‘‘এমন ছবি তুলুন, যাতে আমাদের খুব ভাল দেখায়! আমাদের সম্পর্ক খুবই বিশেষ ধরনের। কাল আমাদের খুব ব্যস্ততা থাকবে।’’

নৈশভোজে কিছু সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, ‘‘এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই খুব কম সাংবাদিককেই এখানে আসতে দেওয়া হয়। তবে সব মাধ্যমের লোকজনই রয়েছেন এখানে।’’ এ দিন ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের নৈশভোজ সেরে চলে যান দুই নেতা। বৃহস্পতিবার তাঁরা আবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন। কাল সন্ধেতেই ওয়াশিংটন ফিরে যাবেন ট্রাম্প। আনন্দবাজার

পাঠকের মতামত

Comments are closed.