176034

কর্ণের উপর রেগে আছেন ঐশ্বর্য

কী এমন হল, যে কর্ণ জোহরের উপর রেগে গেলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন? কেউ বলছেন, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’এর পর থেকেই নাকি দু’জনের সম্পর্কটা বিগড়েছে। কর্ণ নাকি ছবির সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ঐশ্বর্যাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফের একসঙ্গে কাজ করার। কিন্তু সে ছবি করে শ্বশুরবাড়ির কম ধাক্কা সামলাতে হয়নি ঐশ্বর্যাকে। রণবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ে করায় রীতিমতো চটেছিল বচ্চন-পরিবার। শাশুড়ি জয়া বচ্চন তো নাম না করে একহাত নিয়েই নিয়েছিলেন বৌমাকে। বলেছিলেন, ‘‘আগেকার ছবি-নির্মাতাদের কাছে কাজটা ছিল শিল্প। এখন সবটাই ব্যবসা! ভালবাসার খোলাখুলি বহিঃপ্রকাশটাকে স্মার্টনেস হিসেবে দেখা হয়। লজ্জাশরম নামের কোনও জিনিসই নেই!’’

অমিতাভ শেষের দিকে ঐশ্বর্যার একটু-আধটু প্রশংসা করলেও প্রচারের আগাগোড়া সময়টাই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। ছবিটা দেখতেও চাননি তাঁরা। কর্ণ জোহরের স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ঐশ্বর্যা পরিবারের সকলের জন্য যে স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিলেন, সেখানেও অমিতাভ আর জয়াকে দেখা যায়নি এমনকী! তবে সবচেয়ে আঘাতটা দিয়েছিলেন বোধহয় অভিষেকই। ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেও সঙ্গে সঙ্গে দেখে উঠতে পারেননি। কারণ? নিজের ফুটবল টিমের সঙ্গে ট্রাভেল করছিলেন অভিনেতা! যদিও বলেছিলেন, ছবির স্ক্র্যাচ দেখে ঐশ্বর্যাকে অসাধারণ লেগেছে তাঁর।

সব মিলিয়েই বোধহয় শিক্ষা হয়ে গিয়েছিল ঐশ্বর্যার। কর্ণের সঙ্গে ফের কাজের প্রস্তাব তাই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন থেকেই কর্ণ এবং ঐশ্বর্যার বন্ধুত্বে ভাটা পড়েছে। আবার শোনা যাচ্ছে, ঐশ্বর্যার বাবার অন্ত্যেষ্টিতে কর্ণ যাননি বলেই খারাপ লেগেছে নায়িকার। দুই ছেলেমেয়ে যশ আর রুহিকে নিয়ে আপাতত ব্যস্ত রয়েছেন কর্ণ। তাই কোথাওই যাওয়া হচ্ছে না তাঁর। কিন্তু কৃষ্ণরাজ রাই অসুস্থ থাকাকালীন কর্ণ হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। ফোনেও সমানে যোগাযোগ রেখেছেন অভিষেক এবং ঐশ্বর্যার সঙ্গে। ঐশ্বর্যা নিজে যেখানে বাচ্চাকে এক মুহূর্ত কাছছাড়া করতে চান না, সেখানে আরেকজন বাবার এই অসুবিধাটুকু কি বোঝার কথা নয় তাঁর?

পাঠকের মতামত

Comments are closed.