175939

ককটেল পার্টি ভয় পান বেয়ার গ্রাইলস!

নূসরাত জাহান: ন্যাশনাল জিওগ্রাফির অ্যাডভেঞ্চার শো ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ এর কল্যাণে বিয়ার গ্রাইলসেকে কে না চেনে। কোনো কিছুতে তার ভয় নেই। তিনি অনায়াসে খাড়া পাহাড়ে উঠতে পারেন, কুমিরের সঙ্গে লড়াই করেন, মরুভূমির মধ্যে কিংবা কূল কিনারাহীন সাগারের মাঝ থেকেও বেঁচে ফিরতে পারেন না। ভয় পান না বিষাক্ত সাফ কিংবা অন্য কোনো প্রাণীকে। তার অ্যাডভেঞ্চারাস কর্মকাণ্ড অনেকের কাছেই প্রিয়। অনেকেই ভাবেন গ্রাইলসের কোনো কিছুতে ভয় পান না। কিন্তু তিনিও ভয় পান। ককটেল পার্টি ভয় পান গ্রাইলস।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার ভেতরেই ভয় কাজ করে। এটা বলা যাবে না যে আমি কিছুতে ভয় পাই না। আমি অনেক কিছুতেই ভয় পাই। আমি ককটেল পার্টিতে যেতে ভয় পাই। কারণ সেখানে একগাদা অপরিচিত মানুষ থাকে। এরকম জায়গায় যেতে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না।’

আন্তর্জাতিক এক শিক্ষা সম্মেলনে গ্রাইলস তার ভয় নিয়ে কথা বলেন। একইসঙ্গে ভয়কে জয় করার কথাও তিনি বলেন। তিনি বলেন, ‘ভয়কে জয় করার অন্যতম উপায় হচ্ছে যেসব বিষয়ে আপিন ভয় পান তার মাঝ বরারবর আঘাত করা। এটা কাজ করে। ভয়কে যখন বারবার আঘাত করা হয়, তখন আপনার কাছে ভয় আসতেই ভয় পাবে। অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে আমি এটা শিখেছি। আর এ কারণেই আমি অনেক কাজ অনায়াসে করতি পারি।’

গ্রাইলস বলেন, বিমান বা হেলিকপ্টার থেকে লাফ দিতে তিনি ভয় পেতেন। এ বিষয়টা বুঝতে পারেন যখন তার বয়স ২০ এর কোটায়। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি তিনবার দুর্ঘটনায়ও পড়েছেন। এভারেস্ট চড়তে গিয়েও তিনি দুর্ঘটনায় পড়েছেন। তবে এসব দুর্ঘটনারে কারণে তিনি পিছু হটেননি। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছেন, ‘কাজগুলো আমাকে পারতেই হবে। যেসব বিষয়ে ভয় ছিল তা নিয়ে বারবার কাজ করেছি। এক সময় দেখলাম এটা কাজ করছে। যখন কাজগুলো করতাম তখন ভাবতাম, সমস্যা হলে মরে যাবো বা প্যারারাইজড হয়ে যাবো। যেহেতু আমি বেঁচে আছি তার মানে জীবন আমাকে আরেকবার সুযোগ দিয়েছে। পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। ’

তিনি বলেন, ‘তরুণদের অবশ্যই ঘরের বাইরের দুনিয়াকে দেখতে হবে। ঝুঁকি নিয়ে নানা অভিজ্ঞতা নিতে হবে। কৌতুহলকে বাড়াতে হবে, যেটা আপনাকে অনেক দুঃসাহসিক কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে। তরুণ বয়সে যদি দুঃসাহসিক কাজ করতে না পারেন তাহলে আপনি নিজের স্পিরিটকে মেরে ফেলছেন। জীবনের সবখানেই ঝুঁকি আছে। কাজেই একে এড়িয়ে চলার কোনো উপায় নেই।’

সূত্র: বিবিসি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.