276155

টানা তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হলেন এরদোগান

নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত তুরস্কের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এই গণনায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর প্রধান বিরোধী জোটের প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। সূত্র: বিবিসি

এর আগে রোববার দ্বিতীয় ধাপের এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটারদের ভোট প্রদান। তুরঙ্কের মোট ছয় কোটি ৪০ লাখ ভোটার। এর আগে ভোটারদের মধ্যে ৭৩টি দেশে থাকা ১.৯ মিলিয়ন প্রবাসী ভোটার ভোট প্রদান করে নিজেদের ব্যালট পাঠিয়ে দেয়। তুরস্কে এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (এ কে পার্টি) ইসলামপন্থী ও কিলিচদারুলুর এমএইচপি পার্টির পশ্চিমা পন্থী দল হিসেবে বিশ্বে পরিচিত।

এর আগে গত ১৪ মে’র প্রথম দফা ভোটে এরদোগানের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেছিলেন কিলিচদারোগলু। ওই ধাপে ৬৪ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। তবে তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ি দুজনই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় ভোট। প্রথম দফার ভোটে তৃতীয় স্থানে থাকা প্রেসিডেন্ট কট্টর জাতীয়তাবাদী প্রার্থী সিনান ওগান ৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। পরে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে সমর্থন করেন। এতে এরদোগানের জয়ের সুযোগ সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান এক টুইটে ‘প্রশ্নহীন’ বিজয়ে এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পুর্বেও ২০০৩ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরষ্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং তার পূর্বে ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে তিনি দয়িত্ব পালন করেন এরদোগান। বর্তমানে তুরস্কে মূল্যস্ফীতি ৪৪ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু এই জনসংখ্যারই একটা বড় অংশ আবার এরদোগানের ওপরই আস্থা রেখেছেন।

দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে মি. কিলিচদারোগলু তার প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনে। তার অভিযোগ ছিল, তার ভোটারদের কাছে পাঠানো টেক্সট মেসেজ ব্লক করা হয়েছে। আর এরদোগানের পাঠানো টেক্সট মেসেজ স্বাভাবিকভাবেই পৌঁছেছে। প্রচারণার শেষদিনে বিরোধী জোটের নেতা কিলিচদারুলু বেশ অভিনব ধরণের প্রেসিডেন্সির প্রতিশ্রুতি দেন। অন্যদিকে এরদোগান তার প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তাকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তবে প্রধান ইস্যু ছিল জিনিসপত্রের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের মুদ্রা লিরার দর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ কমেছে, এবং বিদেশি মুদ্রার চাহিদা বেড়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.