272532

কানার হাট বাজারে ঘুরছেন শাওন শেয়ার দিলেন জয়া !

মিজানুর রহমান : নিজেরদের অফিসিয়াল পেইজে সবাই সেটাই শেয়ার করেন যেটা অন্যের ভালো লাগে বা নিজের ভালো লাগে। তারকাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি করতে হয় আরও বুঝেশুনে। কারণ নিজের ভালোলাগাট তারা চাইলেই শেয়ার দিতে পারেন না। এতে তাদের ভক্তরা বিরক্তও হতে পারেন। তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া অভিনেত্রী জয়া আহসান একটি ভিডিও শেয়ার দিয়েছেন। যেটা দেখে তারসঙ্গে মুগ্ধ তার ভক্তরাও। ভিডিওটা অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া একটি গানের।

দেশের সবচেয়ে বড় ফোক রিয়্যালিটি শো ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র তৃতীয় আসরের বিজয়ী টাঙ্গাইলের পলাশ চন্দ্র শীলের সঙ্গে কানার হাট বাজার শিরোনামের একটি বাউল গান গেয়েছেন শাওন। আর সেটি শুনেই মুগ্ধ জয়া। মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে জয়া লিখেছেন- চমৎকার শাওন! অসাধারণ একটা ডুয়েট, আমি মুগ্ধ। লেখার সঙ্গে তিনি শাওন-পলাশের গাওয়া গানটির মিউজিক ভিডিও শেয়ার করেছেন।

ফোক রিয়ালিটি শো ম্যাজিক বাউলিয়ানার তৃতীয় আসর শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর। বাংলার বাউল গান দিয়ে সারা বিশ্ব মাতাতে সান ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষক স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড। আয়োজনটি সম্প্রচার করা হয় মাছরাঙা টেলিভিশনে। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত প্রতিযোগীতায় সারা দেশ থেকে নিবন্ধন করেছিলেন ৪২ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী। এরপর দেশজুড়ে দীর্ঘ অডিশন ও সিলেকশন পর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পান মাত্র ২৬ জন।

বিচারকদের বিচারে শেষ পর্যন্ত টিকে যাঁরা সেরা পাঁচ প্রতিযোগী—তাঁরা হলেন লালমনিরহাটের শিরাজাম মুনিরা পাখি, কুষ্টিয়ার ইতি ইব্রাহিম, রাজবাড়ীর সোহেল ভেড়ো, টাঙ্গাইলের পলাশ চন্দ্র শীল এবং চট্টগ্রামের নয়ন শীল।

চ্যাম্পিয়ন বাছাই শুরুর আগেই সারা বিশ্বে শুরু হয় কোভিড-১৯–এর প্রকোপ। এমন পরিস্থিতিতে আড়ম্বরপূর্ণ গ্রান্ড ফিনালে আয়োজন করা সম্ভব হয় না। তবে ২২ অক্টোবর ২০২০ মাছরাঙা টেলিভিশনে এই আসরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাজিক বাউলিয়ানা ২০১৯-এর বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় সেরা পাঁচের সবাইকে। প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় আড়াই লাখ টাকার প্রাইজমানি। এ ছাড়া পাঁচজনের আলাদা আলাদা মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করে টিভি ও ইউটিউবে সম্প্রচার করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাজিক বাউলিয়ানাদের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে অংশ নেন দেশসেরা পাঁচজন সেলিব্রেটি। যেখানে ইতি ইব্রাহিমের সঙ্গে গান গেয়েছেন এবং অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, সিরাজাম মুনিরা পাখির সঙ্গে ফজলুর রহমান বাবু, সোহেল ভেড়োর সঙ্গে তারিন, পলাশ চন্দ্র শীলের সঙ্গে মেহের আফরোজ শাওন, নয়ন শীলের সঙ্গে কুসুম শিকদার।

লোকসংগীত বাংলাদেশের বিদগ্ধজন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবার কাছে সমান জনপ্রিয়। আর এ গানের আবেদন অতীতেও যেমন ছিল, বর্তমানেও তেমন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

বাউল গানের এই সুরসুধার যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো নেওয়া হয় দেশব্যাপী লোকসংগীতের প্রতিভা খুঁজে আনার উদ্যোগ ম্যাজিক বাউলিয়ানা। সারা দেশে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পর কাজ শুরু হয় বাউলগানকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার। বিশ্ব জানুক, কী দারুণ সুর আর দর্শন আছে এই বাংলার বাউলগানে, লোকসংগীতে। এরই ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয় এশিয়ার সর্ববৃহৎ লোকসংগীত উৎসব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট। এখানেই থেমে থাকা নয়। লোকসংগীতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যথাযথ আর্কাইভ তৈরি এবং শিল্পীদের সঠিক মূল্যায়ন করতে ও তাঁদের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজন একটি ফাউন্ডেশনের। সেই অভিপ্রায়েই যাত্রা শুরু হয় সান ফাউন্ডেশনের। সান ফাউন্ডেশন বাংলার লোকসংগীতের লালন এবং প্রসার—সব দিকেই কাজ করে যাচ্ছে।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.