271979

সমকামিতায় শীর্ষে আছে এই প্রাণীরা

সমকামিতা নাম শুনেই কপাল ঘুচিয়ে নাক শিটকান অনেকেই। একে অনেক বিশেষজ্ঞ মানসিক বিকারগ্রস্তের কারণও বলেছেন। আবার কেউ কেউ এ ধরনের যৌনাচারণকে প্রকৃতিবিরুদ্ধও বলে থাকেন।

তবে যে যাই বলুক না কেন, ইসলাম ধর্মে পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ এটি। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমকামিতার জন্য একটি জাতি ধ্বংস হওয়ার কাহিনীও বর্ণনা করা আছে। সমকামিতার জন্য লূত (আ.) এর জাতির ধ্বংসের কাহিনী সব মুসলিমেরই জানা উচিত।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমকামিতা বৈধ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমকামিতা বৈধ

তবে জানেন কি? এত কিছুর পরও বিশ্বের কিছু মুসলিম দেশ রয়েছে যেগুলোতে সমকামিতা নিষিদ্ধ নয়। বরং তাদের রক্ষণাবেক্ষণে নেয়া হয় নানা পদক্ষেপ। আইনি সুযোগ সুবিধাও পান তারা। এ তো গেল মানুষের কথা,পশুদের মধ্যেও রয়েছে সমকামিতা। সম্প্রতি ব্রিটেনের এক গবেষণায় দেখা যায়, জিরাফেরা ৯০ শতাংশ সমকামী।

সমকামী পশুর তালিকায় রয়েছে সিংহ

সমকামী পশুর তালিকায় রয়েছে সিংহ

তবে নামিবিয়ার জিরাফ সংরক্ষণ ফাউণ্ডেশনের পরিচালক স্টেফানি ফেনেসি এই দাবি ভুল বলে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তার মতে, কখনো কখনো তারা একে অপরকে নকল করে, যা আধিপত্যের আচরণও। কুকুরও এটা করে।

জেরেমি করবিনের সিনিয়র অভ্যন্তরীণ নীতি উপদেষ্টা লাচলান স্টুয়ার্ট এই বিষয়টি নিয়ে টুইটারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। স্টুয়ার্ট বলেন, এটি একটি হাস্যকর, আপত্তিকর দাবি। স্টুয়ার্ট জোর দিয়ে দাবী করেছেন, জঙ্গলে জিরাফের মধ্যে যে সমকামী শারীরিক যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে তা “একেবারেই সমকামী আচরণ নয়” বরং আধিপত্যের প্রদর্শন।

ডলফিনের মধ্যেও এই আচরণ দেখা যায়

ডলফিনের মধ্যেও এই আচরণ দেখা যায়

১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত সমকামিতা নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয়নি কখনো। এর বড় কারণ সমকামিতাকে একটি ট্যাবু ম্পনে করা হত। যার দরুণ এলজিবিটি মানুষদের সমাজ পশুর ন্যায় মুল্যায়ন করত। এক গবেষণায় দেখা যায় বন্য প্রাণীর মধ্যে এই আচরণ দেখা যায়। এই তথ্য পাওয়া যায় আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে। বিশেষ করে সমকামি আচরণ খুজে পাওয়া যায় পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। যেমন: ডলফিন। এছাড়াও হাঁস, বানর, সিংহ, ভেড়ার মধ্যেও আছে সমকামিতা।

বানররাও সমকামী হয়ে থাকে

বানররাও সমকামী হয়ে থাকে

১৯৯৯ সালের হিসাব অনুসারে, পাঁচশ এর চেয়েও অধিক প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে সমকামিতা দেখা গেছে। প্রাণীজগতে যে সমকামিতা দেখা যায়, তা স্বাভাবিকভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে নি। কারণ প্রাণীর মধ্যে সমকামিতা দেখা যায়, এর মাধ্যমে এটা প্রমাণ করা যায়, মানুষের মাঝে যে সমকামিতা দেখা যায়, তা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকে এই বিষয়টি মানতে নারাজ। তাদের মতে প্রাণীজগতে সমকামিতা দেখা যাক বা না যাক, তাতে মানবসমাজের নৈতিকতায় কোনো প্রভাব পরা উচিত নয়।

সামুদ্রিক এই প্রাণীদের মধ্যেও দেখা যায় সমকামিতা

সামুদ্রিক এই প্রাণীদের মধ্যেও দেখা যায় সমকামিতা

কারণ পশুর আচরণ থেকে নৈতিকতা খুঁজতে যাওয়া বা সেখান থেকে নৈতিকতার নতুন সংজ্ঞা শিখা অর্থহীন। অন্যদিকে অনেকেই মনে করেন, সমকামিতা প্রাকৃতিক এবং একারণেই জীবের মধ্যে সমকামিতার অস্তিত্ব খুজে পাওয়াটা বিষ্ময়কর নয়। তবে যাই হোক না কেন সমকামিতা সমাজে ভালো কোনো কিছু দিতে পারে না। মানুষের মধ্যে এই স্বভাব তাকে পতনের দিকেই ঠেলে দেয় বলে মত বিজ্ঞদের। যদিও বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশেও সমকামিতা আজ বৈধ। এরমধ্যে আছে তুরস্ক, মালি, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, আলবেনিয়া, বাহারাইনসহ আরো কয়েকটি দেশ।

সূত্র: ডয়েচভেলে 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.