অগ্নাশয় ক্যান্সার গবেষণায় বাঙালি বিজ্ঞানীর সাফল্য
মানুষের দেহে ক্যান্সারের অন্যতম ভয়াবহ রূপ অগ্নাশয় ক্যান্সার। অগ্নাশয় ক্যান্সার সবচেয়ে গুরুতর ক্যান্সারগুলোর অন্যতম হওয়ার কারণ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়া। আর সেই ক্যান্সার নিয়ে গবেষণাতেই বড় সাফল্য দেখিয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানী অনিন্দ্য বাগচি।
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চিকিৎসকরা বলতেন, এই রোগের কার্যত কোনো চিকিৎসা নেই। তবে পরবর্তীকালে এই রোগ নিয়ে একটি হাইপোথিসিস তৈরি হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরে সেই হাইপোথিসিসের উপর নির্ভর করেই রোগটির চিকিৎসা চলছিলো। অবশেষে অগ্নাশয় ক্যান্সার উপসমের জেনেটিক স্ট্রাকচার আবিষ্কার করেছেন বাঙালী বিজ্ঞানী।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার জেনেটিক্সের অধ্যাপক অনিন্দ্য সাত-আট বছর আগে স্যানফোর্ড ব্রুনহ্যাম প্রেবিস মেডিক্যাল ডিসকভারি ইনস্টিটিউটে নিজের ল্যাবে অগ্নাশয় ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
তিনি দেখতে চাইছিলেন, যে হাইপোথিসিসের উপর দাঁড়িয়ে এ ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা হয়, তা কতটা কার্যকর। বছর কয়েকের মধ্যেই অনিন্দ্য এবং তার সহকর্মীরা এক আশ্চর্য সত্যের মুখোমুখি হন। এতদিন ধরে যে হাইপোথিসিসের উপর ভিত্তি করে অগ্নাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিলো তাতে রোগের উপশমের চেয়ে উল্টো ক্ষতি হতে পারে।
শুধু অনিন্দ্য নন, তার সমস্ত সহযোগী এই আবিষ্কারে চমৎকৃত হন। দীর্ঘ প্রায় আট বছরের কঠোর পরিশ্রমের পরে শেষ পর্যন্ত অনিন্দ্য এবং তার দল একটি প্রোটিনের সন্ধান পেয়েছেন। যা অগ্নাশয় ক্যান্সার উপসমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
এটি অগ্নাশয় ক্যান্সারের কোনো ওষুধ নয়, বরং অগ্নাশয় ক্যান্সার উপসমের একটি জেনেটিক মডেল। এটি ব্যবহার করে তৈরি হতে পারে ওষুধ। এবং যার ব্যবহার শুরু হলে অগ্নাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে।