সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে ২৪ বছর পূর্ণ করলেন শাহরুখ খান
লাইফস্টাইল ট্যাংক : আজ থেকে ২৪ বছর আগের আজকের দিনে তাঁর প্রথম সিনেমা মুক্তি পায়। সেই হিসেবে আজ তিনি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে ২৪ বছর পূর্ণ করলেন। যদিও প্রথম যেই সিনেমা মুক্তি পায়, সেটা “প্রথম” সিনেমা হওয়ার কথা ছিল না, ‘দিল আশনা হ্যায়’ সিনেমাটা প্রথমে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কীভাবে যেন সাইড রোলে থাকা দিওয়ানা আগে রিলিজ পেয়ে গেল। ফলাফল প্রথম সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার এর বেষ্ট মেইল ডেবিউ অ্যাওয়ার্ড।
এটাও তার পাওয়া হতো না, কপালের ব্যাপার ছিল বলতে গেলে সব। এই রোল করার কথা ছিল আরেকজনের, তিনি না করায় শ্যামলা বর্ণের “ভাল্লুকের মতো চুলওয়ালা” ছেলেটি পেয়ে যায় এই রোল। ক্যারিয়ারের প্রথম দিককার করা বেশিরভাগ রোল অন্য স্ট্যাবলিশ হিরোদের ছেড়ে দেয়া, যেগুলো করে নিজেকে স্ট্যাবলিশ করেছেন তিনি। মজা করে প্রায়ই বলেন, ‘বাকিদের ঝুটো বা না খাওয়া ভাত খেয়ে আমি নিজের পেট ভরেছি।’
আশেপাশের সবাই বলতো চেহারা ভালো না, এই চেহারায় কীভাবে নায়ক হবেন? এই কারণেই মনে হয় যা রোল পেতেন, করে ফেলতেন। পরিচালক আব্বাস মাস্তান যখন বললেন- এই সিনেমাটা একটু আলাদা, এই ক্যারেক্টার কেউ করতে চাচ্ছে না, নায়িকাকে ছাদ থেকে ফেলে দিতে হবে, আপনি কি করবেন এটা? তিনি নির্লিপ্তভাবে বললেন- কোন সমস্যা নাই, ফেলে দিব ছাদ থেকে! এমনভাবে বললেন, যেন নিয়মিত তিনি ছাদ থেকে মেয়েদের ফেলে দেন! সবাই যেখানে ভাবছিল এই সিনেমা চলবে না, সেখানে সিনেমা সুপারহিট আর তিনি রাতারাতি স্টার। এরপরে ডর সিনেমাতেও একই অবস্থা। ভিলেন হয়েই দর্শকের মন জয়। এটা ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম পর্যায়।
এরপরে আসলো ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই সিনেমাটা একই সাথে সবচেয়ে ভাল চয়েজ এবং একই সাথে সবচেয়ে বড় ভুল। ভাল চয়েজ কেন সেটা সবাই জানেন, হিন্দি রোম্যান্টিক সিনেমা বললে এটার নাম সবার আগে চলে আসে, টানা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে মারাঠা মন্দিরে শুধু এই একটি সিনেমাই চলছে- এই রেকর্ড অন্য কেউ তো দূরের কথা, খোদ খান সাহেব নিজে আর কখনও ভাঙতে পারবেন কিনা সন্দেহ।
এবার ভুলের কারণ ব্যাখ্যা করি, হতে পারি আমি ভুল বা আমার ব্যাখ্যা ভুল, এরপরেও বলি (বলে যদি নিজেকে শুদ্ধ করা যায়!); রাজ নামের এই রোম্যান্টিক রোলে তিনি এতটাই ভাল করলেন, পাবলিকের কাছে এতটাই গ্রহণযোগ্যতা পেলেন, এরপরের তার বেশিরভাগ সিনেমাই রোম্যান্টিক হতে থাকলো। দিল তো পাগল হ্যাঁয়, ইয়েস বস, কুচ কুচ হোতা হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গাম। এটাই শাপে বর হয়ে আসলো। এমন না যে তিনি কোন এক্সপেরিমেন্ট করেন নি, কিন্তু সমস্যা হলো সেইসব এক্সপেরিমেন্ট বেশিরভাগ সফল হয়নি। এক্সপেরিমেন্ট নিজের প্রোডাকশন হাউজ থেকেই করেছেন, প্রোডিউসার হয়ে নিজেই টাকা ঢেলেছেন- কিন্তু সমস্যা একটাই- রোম্যান্টিক রোল এত বেশি ভাল করে ফেলেছেন, দুই হাত সরিষা ক্ষেতে বা বরফের পাহাড়ে এত বেশি ছড়িয়েছেন- পাবলিক শুধু তাঁর কাছ থেকেই এগুলাই দেখতে চায়। আর যেহেতু একবার সুপারস্টারের সিল কাঁধে পড়ে গেছে, সুতরাং বক্স অফিসের সাফল্য না থাকলে যেন অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি! তাই চলতে থাকলো রোমান্স।
যোদ্ধার রোল করেছেন অশোকাতে, কমল হাসানের হে রাম সিনেমাতে ছোট্ট কিন্তু দারুণ একটা রোল করেছেন- তাও বিনা পারিশ্রমিকে। আর্মি সিনেমাতে ছোট্ট একটা ক্যারেক্টার। বোবা ক্যারেক্টার করেছেন কয়লা সিনেমাতে, ওহ ডার্লিং ইয়ে হ্যাঁয় ইন্ডিয়া নামের ভাল একটা স্যাটায়ার সিনেমা আছে তাঁর (বেশ আন্ডাররেটেড, অনেকে নামও জানে না), নিজে মিডিয়ার মানুষ হয়ে ‘ফির ভি দিল হ্যাঁয় হিন্দুস্তানি’ নামে মিডিয়া নিয়ে দারুণ একটি স্যাটায়ার সিনেমাতে টাকা ঢেলেছিলেন আর অভিনয় করেছিলেন, লোককাহিনীর উপরে ভিত্তি করে ভূতের রোলও করেছেন, টাকাও ঢেলেছেন, সিনেমার নাম পেহেলি। আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে এই সবগুলো সিনেমাই অসফল! অথচ তাঁর অনেক ‘সফল’ সিনেমার চেয়ে এইসব সিনেমা অনেক বেশি আলোচনার দাবি রাখে। এছাড়া তার বেষ্ট পারফর্মেন্স এর তালিকা করলে যেই দুটি সিনেমা আসবে- ‘দিল সে’ এবং স্বদেশ- এই দুইটি সিনেমাও অসফল! ‘দিল সে’ সিনেমাতে তিনি যেই লেভেলের অভিনয় করেছেন, সেটা আর দেখব কিনা কখনও জানিনা। স্বদেশ করার সময় স্ক্রিপ্ট শুনে প্রথমেই ডিরেক্টর আশুতোষ গোয়ারিকরকে বলেছিলেন, ‘তোমার এই সিনেমা চলবে না, তবে আমি অবশ্যই এই সিনেমাটি করব, চলবে না জেনেও করব।’ সিনেমা চলে নি, তবে imdb top 250 এর লিস্টে তাঁর এই একটি সিনেমাই স্থান পেয়েছিল।
ব্যাস! কী আর করা! নিজের আরামের জায়গায় ফিরে আসো, রোমান্স করো, কাল হো না হো করো(এটা যদিও একদম আলাদা একটা রোম্যান্টিক সিনেমা, শুধুই লুতুপুত না), চলতে চলতে করো, দেবদাস করো (সাহিত্য নির্ভর কাজ, কিন্তু যেহেতু রোম্যান্টিক কাজ সুতরাং সমালোচনা জারি থাকবে), ভীর জারা করো (এটা একটু ডিফারেন্ট, সাথে ছিলেন মনোজ বাজপাই, কিন্তু সেই পুরনো অভিযোগ- রোমান্স ছাড়া এই ব্যক্তি আর কিছু পারেনা। অথচ অন্য কিছু করলেই তখন- এটা তো ব্যবসা করে নাই তেমন- এই অভিযোগ)!
তবে হ্যাঁ, কিছু ব্যতিক্রমী জিনিস আবার সফল- ডন, চাক দে ইন্ডিয়া আর মাই নেম ইজ খান। ডন দিয়ে ভিলেন রোলে আবার সেই ভালোবাসা পাওয়া, এতটাই যে এই সিনেমার পার্ট ২-ও সফল। ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ সম্ভবত এমন একটি সিনেমা যেটি আজ থেকে ২০ বছর পরেও থাকবে। নিজের ছেলের মৃত্যুর সংবাদ হাসতে হাসতে আবার একই সাথে চোখে পানি নিয়ে বলার অদ্ভুত অভিনয় দেখেছিলাম ‘মাই নেম ইজ খান’-এ, যদিও সিনেমাটা আরও ভাল হতে পারতো বলে মনে করি। তবে খান সাহেবের অভিনয় খারাপ ছিল এটা বলতে পারব না।
ব্যস! এরপরেও শুরু হলো আইয়ামে জাহেলিয়াত! ‘রা ওয়ান’ দিয়ে শুরু, দিলওয়ালে পর্যন্ত চলেছে। রা ওয়ানে VFX-এ এত বেশি নজর দেয়া হয়েছে যে সিনেমা নামক বস্তুতে কাহিনী নামক, স্ক্রিপ্ট নামক একটা জিনিস থাকে, সেটা সবাই ভুলে গেলেন। তবে যেহেতু তিনি প্রোডিউসার ছিলেন, তিনি নায়ক ছিলেন, এই এক সিনেমার জন্য পাঁচ বছর সময় ব্যয় করেছেন, প্রচুর খরচ করেছেন, ৩০ দিনে ১৯ টি শহরে দিন রাত ঘুরে প্রচার করেছেন- কাজেই সব গালি তাঁকে খেতে হলো! কিছু গালির ধরণ এমন, যেন সিনেমার পরিচালকের আর স্ক্রিপ্ট রাইটারের কোন দোষ নাই, সব দোষ তাঁর। এরপরে থেকেই চলছে, যেই কাজ কখনও খুব একটা করেননি, সেটা করা শুরু করলেন- মশলা সিনেমা। ট্রেন্ড চলছিল মশলার, আর যেহেতু নামের সাথে স্টার যুক্ত থাকা লোকদের অলিখিতভাবে ট্রেন্ডের সাথে মিলে চলতে হয়, তাই চেন্নাই এক্সপ্রেস, হ্যাপি নিউ ইয়ার-এর সৃষ্টি হল। মাঝে আবার যশরাজের প্রেমের সিনেমাও করলেন, দুইটা ভিন্ন রোল করলেন এক সিনেমাতে, ভালই করলেন! তবে এত লম্বা সিনেমা দেখে অনেকেই হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছিল, কাজেই তাঁর ভাল করাটা সেভাবে নজরে আসলো না। ২০১১ থেকে ১০১৫ পর্যন্ত একটি সিনেমাই শুধু ভাল লেগেছে তাঁর, ডন ২। এই ২০১৫ পর্যন্ত সময়কে আমি বলি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পর্যায়।
তিন নাম্বার পর্যায় এখন চলছে, শুরুটা হয়েছে ফ্যান দিয়ে। ৫০ বছরের একজন মানুষ কোন এক জাদুবলে ২৫ বছরের ছেলের মতো সারা সিনেমাতে লাফিয়ে বেড়ালেন, সেটা জানা নাই। মেকাপ দিয়ে বয়স কমানো যায়, কিন্তু এত এনার্জি এখনও আসে কোথা থেকে? পায়ের ভাঙ্গা patela হাড় নিয়ে শুটিং করেছেন সিনেমার, তাও একই দৃশ্য প্রতিদিন দুইবার করে করতেন, একবার আরিয়ান হয়ে, একবার গৌরব হয়ে। পরিচালক মনিশ শর্মা বলেন, ‘একজন মানুষ তার ভাঙ্গা পা নিয়ের দিনের ১৬ ঘণ্টা আমাকে দিচ্ছেন, যেভাবে বলছি সেভাবে করছেন, নিজের কোন মাতুব্বরি দেখাচ্ছেন না, আমি তাঁর কাছে আর কি চাইতে পারি পরিচালক হিসেবে!’ এত বছর পরে এমন আত্মনিবেদন খুব কম দেখা যায়।
কিন্তু এবারও সেই পুরনো সমস্যা, খান সাহেব ভাল করলেও, সিনেমার স্ক্রিপ্টে সমস্যা। নাচ নাই, গান নাই, নায়িকা নাই, দুই হাত ছড়ানো নাই, সেকেন্ড হাফে স্ক্রিপ্টের আগামাথা নাই, ফলাফল- সিনেমা ইন্ডিয়াতে ফ্লপ! যদিও বাইরে ব্যবসা ঠিকমতোই চলছে। ভিন্ন কিছু করলেন অনেকদিন পর- সেটার যতটা না প্রশংসা, তার চেয়ে নিন্দা বেশি, কারণ সিনেমা ব্যবসা করে নাই। অথচ হ্যাপি নিউ ইয়ার নামক গারবেজ ব্যবসা করলে- সেই আগের জিনিস, ফালতু, এক্সপেরিমেন্ট নাই।
এরপরেও তিনি ছুটছেন, ছুটবেন। রাতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুমান না, এখনও প্রতিদিন সকালে চারটা পত্রিকা না পড়ে তিনি বাসা থেকে বের হন না। এই এক এনার্জি নিয়েই তিনি টিকে আছেন এত বছর এবং থাকবেন। ক্যারিয়ারের তিন নাম্বার পর্যায় এখন শুরু হয়েছে তার, এই কথাটা বলার কারণ হচ্ছে- সামনে তাঁর সব সিনেমাই একটা আরেকটার থেকে আলাদা, ‘রইস’-এ ভিলেন, এরপরে বামন ক্যারেক্টার, এরপরে ইমতিয়াজ আলীর সিনেমাতে টুরিস্ট গাইড, এরপরে আদিত্য চোপড়ার সিনেমাতে যোদ্ধার রোল, এরপরে শিমিত আমিনের (চাক দে সিনেমার ডিরেক্টর) সিনেমা। ভাল সিলেকশন বলা যায়!
তোতলামির অক্ষমতাকে নিজের স্টাইল বানিয়েছেন, “হেইইইই…” করলে মানুষ এখনও শাহরুখ যে বুঝে, ছাগলও বলে অনেকে, কিন্তু এটা তাঁর স্টাইল। এখন যদিও তোতলামি একেবারেই করেন না। এনার্জি তার সবচেয়ে বড় শক্তিশালী পয়েন্ট, একইসাথে সবচেয়ে দুর্বল জায়গাও এটা, ক্যারেক্টারকে অতিরিক্ত এনার্জি দিতে গিয়ে, অতিরিক্ত ইমোশোন আনতে গিয়ে এনার্জি বেশি হয়ে যায় অনেকসময়- ফলাফল সমালোচকদের কাছ থেকে ‘ওভার একটিং’-এর তকমা। তবে এনার্জিটা কন্ট্রোল করতে পারলে আবার কবির খানের মতো দুর্দান্ত একটা ক্যারেক্টারও তৈরি হয়, যে নায়িকার জন্য কাঁদে না, যে কাঁদে নিজের হকি টিম ম্যাচ জিতলে।
নিজের প্রোডাকশন হাউজ আছে, নিজের VFX কোম্পানি আছে যেটা কতটা ভাল কাজ করছে দিনরাত ধরে, তার প্রমাণ ফ্যান সিনেমার VFX, নিজের ক্রিকেট টিম আছে। ৩০টার মতো পণ্যের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর। এতকিছুর পরেও নিজের পরিবারের জন্য তাঁর জান কুরবান। শুটিং শেষ হলে সরাসরি এখনও বাসায় আসেন, নিজের ছোট ছেলে আব্রাহামের সাথে বেশি সময় কাটান, তার সাথে মজার মজার ছবি দেন, বড় ছেলের সাথে খেলেন এখনও, মেয়ের জন্য বই লিখছেন, স্ত্রীকে সময় দিচ্ছেন, নিজের অসুস্থ বোনকে সময় দেন। এরপরেও তিনি টিভি সিরিজ দেখেন, সেগুলো নিয়ে বারকয়েক টুইটও করেন! ব্রেকিং ব্যাড, প্রিজন ব্রেক আর হাউজ অফ কার্ডস তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সিরিজ। মেয়ের সাথে বসে বাধ্য হয়ে জাপানী সিরিজও দেখেন তিনি। মোহাম্মদ আলীর ভয়াবহ লেভেলের ফ্যান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে অনেক কষ্ট পেয়েছেন। ফ্যান, দিলওয়ালে আর রইসের শুটিং প্রায় একই সময়ে হয়েছে- অথচ তিনটি ক্যারেক্টার আকাশ পাতাল তফাত! মেথড অভিনেতা নন, এরপরেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই তিনি আলাদা মানুষ! ‘ফ্যান’ সিনেমার ট্রেলার রিলিজ করার দুইদিন পরে নিজের শ্বশুরকে হারান, ‘রইস’-এর সেট থেকে সোজা চলে যান সেখানে, এরপরে সব কাজ শেষে আবার রইসের শুটিং তে। তিনি চলতেই থাকেন,থামেন না…
দুইবার ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ফ্রান্স, মালয়েশিয়া সরকারের সবচেয়ে বড় বেসামরিক পদক পেয়েছেন। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল পার্কের একটি গাছের নাম তাঁর নামে। ফ্রান্সের একটি মিউজিয়ামে তাঁর নামে একটি কয়েন আছে- এরকম আরও অনেক সম্মান আছে! একদিন হয়ত সিনেমা আর করতে পারবেন না, তবে তাঁর যেই পরিমাণ জ্ঞান বিবিধ বিষয় সম্পর্কে, সিনেমা নিয়ে তিনি যেই পরিমাণ পড়াশুনা করেন, সেগুলো স্পীচ দিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন। আর বক্তা হিসেবে তিনি কতটা দারুণ, সেন্স অফ হিউমার তাঁর কোন লেভেলের, সেটা এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি এবং ইয়েলে ভার্সিটিতে দেয়া তাঁর স্পীচ ইউটিউবে দেখলেই বুঝতে পারবেন।
সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন- আসল শাহরুখ খান কে?
তিনি বলেছিলেন- জানিনা, আমি নিজেও তাকে মাঝে মাঝে চিনি না। আমার কাছে মনে হয় শাহরুখ খান আসলে একটা মিথ, আর আমি সেই মিথের চাকর। আমি চাকরি করি শাহরুখ খান হয়ে, আমি শাহরুখ না।
শুভকামনা নিরন্তর। পরিশ্রম করে একজন মানুষ কোথায় আসতে পারে, সেটা শুধু আপনাকে দেখলে বুঝি এবং সেটা অনেক অনেক অনেক বেশি ইন্সপায়ার করে। একসময় যেই পাগলামি করতাম আপনাকে নিয়ে, সেটা এখন নাই। বাড়াবাড়ি রকমের ভালোবাসাও এখন নাই, হয়তো বেশি বড় হয়ে গিয়েছি বলে! তবে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা সারাজীবন থাকবে এবং দিন দিন শ্রদ্ধার পরিমাণটাই মনে হয় বাড়বে। ছুটতে থাকুন কিং খান, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত!